কথোপকথন – ১ – পুর্ণেন্দু পত্রী
-কি করছো? – ছবি আকঁছি। – ওটা তো একটা বিন্দু। – তুমি ছুঁয়ে দিলেই বৃত্ত হবে। কেন্দ্র হবে তুমি। আর আমি হবো বৃত্তাবর্ত। – কিন্তু আমি যে বৃত্তে আবদ্ধ হতে চাই না। আমি চাই অসীমের অধিকার। – একটু অপেক্ষা করো। . . . এবার দেখো। ওটা কি? ওটা তো মেঘ। – তুমি ছুঁয়ে দিলেই আকাশ হবে। তুমি হবে নি:সীম দিগন্ত। আর আমি হবো দিগন্তরেখা। – কিন্তু সে তো অন্ধকার হলেই মিলিয়ে যাবে। আমি চিরন্তন হতে চাই। – আচ্ছা, এবার দেখো। – একি! এ তো জল। – তুমি ছুঁয়ে দিলেই সাগর হবে। তিনভাগ জলের তুমি হবে জলকন্যা। আর আমি হবো জলাধার। – আমার যে খন্ডিতে বিশ্বাস নেই। আমার দাবী সমগ্রের। – একটু অপেক্ষা করো। এবার চোখ খোল। – ওটা কি আঁকলে? ওটা তো একটা হৃদয়। – হ্যাঁ, এটা হৃদয়। যেখানে তুমি আছো অসীম মমতায়, চিরন্তন ভালোবাসায়। এবার বলো আর কি চাই তোমার? – সারাজীবন শুধু ওখানেই থাকতে চাই।