বাংলা: মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয় প্রত্যয়’ ৭১ নামে নান্দনিক এক ভাস্কর্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটকের প্রবেশদ্বারের একটু সামনে প্রশাসনিক ভবনের বিপরীত পাশে এটি অবস্থিত। প্রখ্যাত ভাস্কর মৃণাল হকের গড়া ভাস্কর্যটি ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্থাপিত হয়।

ভূমি থেকে চার ফুট উঁচু একটি বৃত্তাকার বেদির উপর মূল ভাস্কর্যটি অবস্থিত। ভাস্কর্যের মূল অংশে রয়েছে একজন নারীসহ ছয় বীরমুক্তিযোদ্ধার বীরত্বপূর্ণ ভঙ্গিমা। যা মুক্তিযুদ্ধে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ইঙ্গিত বহন করে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলার সর্বশ্রেণির নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণ ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে আমাদের বিজয়। পরাধীনতার শৃঙ্গল থেকে বাংলাকে মুক্ত করতে এই ছয়জন বীরসন্তানের প্রতিকৃতিই যেন সমগ্র মুক্তিযোদ্ধার প্রতিনিধিত্ব করে। প্রতিকৃতিতে মুষ্টিবদ্ধ হাত প্রতিবাদের মূর্ত প্রতীক। আর অস্ত্র শোভিত প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাই বিজয়ের মন্ত্রে দীক্ষিত।

ভাস্কর্যের পিছনে ১৭ ফুট উঁচু দুটি স্তম্ভের মাঝ বরাবর রয়েছে একটি লাল বৃত্ত, যা স্বাধীনতার নতুন সূর্যোদয়ের নির্দেশক। দীর্ঘাকার স্তম্ভ দুটি যুদ্ধ চলাকলীন দীর্ঘ সময়কালকে নির্দেশ করে। স্তম্ভের গায়ে সুশোভিত দুই জোড়া শুভ্র কবুতর আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও শান্তির প্রতীকী অর্থ বহন করে।